নিজস্ব প্রতিবেদক: হেমন্তের হিমেল পরশ নিয়ে দুয়ারে কড়া নাড়ছে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব দুর্গাপূজা। করোনা অতিমারির কারণে এবার আয়োজন তেমন জমকালো নয়। তবে থেমে নেই মায়ের আবাহন। স্বাস্থ্যবিধি মেনে দেবিকে বরণের সব প্রস্তুতি নিয়েছেন ভক্তরা। মণ্ডপে মণ্ডপে এখন সাজসাজ রব। দম ফেলবার সময় নেই প্রতিমা শিল্পীদের। মনের মতো করে দেবীকে সাজাতে পারলেই যেন স্বস্তি মিলবে নির্ঘুম চোখে। তাইতো আরো শিল্পশোভন, আরো মোহনীয় করে তোলার ব্যস্ততা।
আকাশপটে মহামায়ার ভূবন মোহনী হাসি, দিকে দিকে ছড়িয়ে পড়েছে দেবি দুর্গার আগমনি বার্তা।যদিও শারদীয় দুর্গোৎসব এবার হেমন্তে গড়িয়েছে। খড় ও মাটির আবরণে লেগেছে রঙের আঁচড়। জিরিয়ে নেবার অবকাশ নেই প্রতিমা শিল্পীদের। মনের সবটুকু আবেগ আর ভালোবাসা মিশিয়ে দেবিকে সাজিয়ে তোলার চেষ্টা চলছে অহর্নিশি। ধর্মগ্রন্থ চন্ডীতে মায়ের যে বর্ণনা রয়েছে, সেই আবহে রং তুিলর আঁচড়ে দেবিকে রাঙিয়ে তুলছেন প্রতিমা শিল্পীরা। রাজধানীর বেশিরভাগ মন্ডপেই প্রতিমা তৈরি প্রায় শেষ পর্যায়ে।
করোনা অতিমারির কারণে এবার ভিন্ন প্রেক্ষাপটে আয়োজিত হচ্ছে সার্বজনীন দুর্গোৎসব। রাতভর মণ্ডপে মণ্ডপে পূজা দেখার আড়ম্বর থাকছে না। শাস্ত্রীয় বিধি মেনে স্বল্প পরিসরে হবে আয়োজন। তার মাঝেই চলছে কিছুটা ভিন্নতার খোঁজ। আলোকসজ্জ্বার আড়ম্বর না থাকায় এবার বেশিরভাগ আয়োজকের মনোযোগ দেবির মোহনীয় মাতৃরূপের দিকে। মহামায়ার আভায় যেন ধরণীর সব অশুভ বিনাশ হয়ে যায় সেই প্রত্যাশাও রয়েছে আয়োজকদের।
করোনার কারণে রাজধানীতে এবার কমেছে পূজার সংখ্যা। রাত নয়টার পর মণ্ডপ বন্ধ রাখার সিদ্ধান্তও নেয়া হয়েছে। থাকছে ভার্চুয়াল অঞ্জলির আয়োজন। তারপরও পরিবর্তিত পরিস্থিতি মেনে নিয়ে শারদীয় উৎসবের কয়েকটা দিন আনন্দময় করে তুলতে, বিপুল উৎসাহেই এগিয়ে চলছে পূজার সকল প্রস্তুতি।